বাচ্চা নষ্ট করার পর কি কি সমস্যা হয় [বাচ্চা নষ্ট হওয়ার লক্ষণ]
আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব বাচ্চা নষ্ট করার পর কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে এই বিষয়ে। এছাড়াও আমরা এই পোস্টটিতে আলোচনা করব বাচ্ছা নষ্ট হওয়ার লক্ষণ কোনগুলো
এবং গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলো কি এই সকল বিষয়ে। যদি আপনারা এই সকল বিষয়ে জানতে আগ্রহী থাকেন তাহলে আমাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আমাদের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনার উক্ত সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। বাচ্চা নষ্ট করাকে বলা হয়ে থাকে গর্ভপাত। গর্ভপাত দুই ধরনের হয়ে থাকে। অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে গর্ভপাত করে।
আবার অনেকের অনিচ্ছাকৃতগতভাবে গর্ভপাত হয়। গর্ভপাত অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি ব্যাপার। অনেকে আছেন যারা গর্ভপাত করার জন্য বা বাচ্চা নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করে থাকেন।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। গর্ভপাতের পর নারীদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। বাচ্চা নষ্ট করা বা বাচ্চা নষ্ট হওয়াকে বিজ্ঞানের ভাষায় গর্ভপাত বা মিসক্যেরেজ বলা হয়।
গর্ভপাত হলে একজন নারীর শারীরিক ও মানসিক দুই ধরনের সমস্যাই দেখা দিতে পারে। বাচ্চা নষ্ট করার পর কালো কালো রক্তের ছোপ দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হতে পারে। এছাড়া গর্ভবতী আরো ঝুঁকি থাকে।
পিরিয়ডের এর সমস্যা দেখা দেয়, কোমর ব্যথা হয়, পেট ব্যথা করে। এছাড়াও শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়, রক্তস্বল্পতা ও দেখা দেয়। গর্ভপাত হলে অনেক নারী মানসিক অশান্তিতেও ভোগ।
বাচ্চা নষ্ট করার পর বা গর্ভপাতের পর প্রত্যেকের উচিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। গর্ভপাত হওয়ার সময়টাতে প্রতিটি মাকে যত্ন রাখতে হয় এবং মানসিকভাবে তাদেরকে আশ্বাস দিতে হয়।
একটা সন্তান নিয়ে প্রতিটি বাবা মায়েরই অনেক স্বপ্ন থাকে। কিন্তু যখন সন্তান পৃথিবীতে আসার আগে গর্ভপাত হয় তখন অচিরেই ভেঙে পড়ে বাবা মায়ের সকল স্বপ্ন। বাচ্চা নষ্ট হওয়ার বা গর্ভপাত হওয়ার আগে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।
আমরা এই পোস্টে আলোচনা করব বাচ্চা নষ্ট হওয়ার লক্ষণগুলো নিয়ে। একজন মা যখন গর্ভধারণ করে তখন তার মাসিক ঋতুচক্র বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে অল্প রক্তপাত অস্বাভাবিক কিছু নয়।
তবে সেটি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় হয় তাহলে বুঝতে হবে তার গর্ভপাত হয়েছে। এছাড়াও গর্ভপাত হলে তলপেটে অসহনীয় ব্যাথা দেখা দেয়। এগুলো ছাড়াও গর্ভপাত হওয়ার আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে।
যেমন- মাত্রাতিরিক্ত ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, হরমোনের সমস্যা, ইনফেকশন। এছাড়া অতিরিক্ত মদ্যপান, ড্রাগ সেবন বা ধূমপান করলে ও গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেকে আছেন যারা একটি সন্তানের আশায় থাকে
এবং সন্তান নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে থাকেন। কেউ যদি গর্ভবতী হয় তাহলে তার মধ্যে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। আমরা আমাদের এই পোস্টটিতে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।
আপনার যদি লক্ষণগুলো জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি পড়তে পারেন। কেউ যদি গর্ভবতী হয় তাহলে তার সবচেয়ে বড় একটি লক্ষণ আছে মর্নিং ফিটনেস। এই লক্ষণ গর্ভবতী হওয়ার এক মাসের মধ্যে দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও গর্ভবতী হলে বমি বমি ভাব হয়, মাথা ঘুরায়, খাবারে অরুচি দেখা দেয়, শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, এছাড়াও কেউ যদি গর্ভবতী হয় তাহলে তার পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়।
গর্ভবতী অবস্থায় প্রত্যেকটি মাকে অনেক যত্নে রাখতে হয়। তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে উৎসাহ দিতে হয় এবং ডাক্তার দেখিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হয়। তাহলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে।