আপনারা কি সার্টিফিকেট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে এই বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন? অথবা সার্টিফিকেট সংশোধন করতে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়ে থাকে এ বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন?
সার্টিফিকেটে মায়ের নাম সংশোধন করার নিয়ম জানতে চাচ্ছেন। যদি আপনারা এই সকল বিষয়ে জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য। কারণ আমরা আজকে আমাদের এই পোষ্টের
মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করব সার্টিফিকেট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে এই বিষয়ে। এছাড়াও আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব সার্টিফিকেট এর মায়ের নাম সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে।
অনেক সময় অনেকের সার্টিফিকেটে নামের মধ্যে ভুল থাকে। আবার অনেকের বয়সের মধ্যে ভুল থাকে। আর এসব ভুলের কারণে অনেক ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকাণ্ডে বা কোন চাকরির ক্ষেত্রে অনেক জটিলতায় পড়তে হয়।
আর কারো যদি সার্টিফিকেটে কোন ভুল থাকে সেই সার্টিফিকেট সংশোধন করারও কিছু উপায় রয়েছে। কারো যদি সার্টিফিকেটে ভুল থাকে সেই সার্টিফিকেটটি দুইটি উপায়ে সংশোধন করা যায়।
একটি হচ্ছে অফলাইনের মাধ্যমে। অন্যটি হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমান সময়ে অফলাইনের চেয়ে অনলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধন করাকে সকলে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
কেউ যদি তার সার্টিফিকেট সংশোধন করতে চায় তাহলে তাকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে। যেমন, কারো সার্টিফিকেটে নামের বানানের মধ্যে ভুল থাকে তাহলে তাকে আবেদন করতে হয়।
আর এই আবেদন করার ক্ষেত্রে টাকা খরচ হয়ে থাকে। যেমন, কেউ যদি নামের সংশোধন করতে চায় সেক্ষেত্রে তাকে আবেদন করার জন্য ৫০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। তা নাহলে তার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
আবার কারো যদি সার্টিফিকেটে বয়সের মধ্যে ভুল থাকে সেক্ষেত্রে তাকে আরও কিছু বেশি টাকা খরচ করতে হয়। এর জন্য তাকে আলাদা আবেদন করতে হয়। এক্ষেত্রে তার সকল খরচ মিলিয়ে প্রায় এক হাজার টাকার মতো খরচ হয়।
অনেক সময় অনেকের সার্টিফিকেটেই বিভিন্ন ধরনের ভুল থাকে। আর এই ভুল সংশোধন করতে কি কি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়ে থাকে এই সকল বিষয়ে অনেকেই জানেনা।
তাই আমরা এই পোস্টটিতে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা যদি আপনাদের সার্টিফিকেট সংশোধন করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাদেরকে সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্য একটি আবেদন করতে হবে।
আবেদন করার পর আবেদন ফি প্রদান করলে আপনাকে রিসিড দেওয়া হবে। এরপর আপনার যা দরকার হবে সেগুলো হচ্ছে আপনার যদি নামে ভুল হয়ে থাকে তাহলে আপনার সংশোধনকৃত সার্টিফিকেট,
আপনার রেজিস্ট্রেশন কার্ড, এডমিট কার্ড, জন্ম সনদ, জাতীয় পরিচয় পত্র থাকলে জাতীয় পরিচয় পত্র লাগতে পারে। এছাড়া আপনার সার্টিফিকেটে যদি আপনার বাবা-মায়ের নামে ভুল হয়ে থাকে
সেক্ষেত্রে আপনাদের সার্টিফিকেট এর সাথে আপনাদের বাবা-মায়ের জন্ম সনদ এবং তাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি লাগবে। এছাড়া আপনাদের বয়স সংশোধন করার ক্ষেত্রে আরো কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে।
যেমন- এফিডিভিট এবং পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন দিতে হবে সেই বিজ্ঞাপনের ফটোকপি। আপনারা যদি আপনাদের সার্টিফিকেট এর মায়ের নাম সংশোধন করতে চান তাহলে আপনাদেরকে আবেদন করার
সময় আবেদন ফরমে আপনার মায়ের সঠিক নামটি লিখতে হবে এবং আপনি যে আপনার মায়ের নাম ঠিক করবেন এটি উল্লেখ করতে হবে। তাহলে আপনারা আপনাদের সার্টিফিকেট এর মায়ের নাম সংশোধন করতে পারবেন।
