শবে কদরের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয় (দেখে নিন)
শবে কদরের রাত খুবই মর্যাদাপূর্ণ একটি রাত। কারণ এই রাতে আল্লাহ তাআলা সম্পূর্ণ কুরআন নাযিল করেছিলেন। রমজান মাসের শেষ দশ দিনের যেকোনো এক বিজোড় রাত হচ্ছে কদরের রাত। যেমন – 21, 23 25, 27 29
এই পাঁচ রাত জেগে ইবাদতকারী শবে কদর লাভ করবে। তবে অনেকে মনে করেন যে শুধু 27 রমজান শবে কদরের রাত। শবে কদর হচ্ছে ফারসি শব্দ। এর আরবি শব্দ হচ্ছে লাইলাতুল কদর। শবে শব্দের অর্থ হচ্ছে রজনী।
আর কদর শব্দের অর্থ হচ্ছে সম্মান, মর্যাদা এবং ভাগ্য। অর্থাৎ শবে কদর শব্দের অর্থ হচ্ছে মর্যাদাপূর্ণ রাত বা ভাগ্য রজনী। আল্লাহ তাআলা শবে কদরের রাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।
শবে কদরের রাতের অনেক ফজিলত রয়েছে। তাই আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব শবে কদরের নামাজ নিয়ে। আপনারা যারা এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী তারা আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আমাদের এই পোস্টে শবে কদর সম্পর্কে অনেক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। অনেক মুসলিম ব্যক্তিরাই জানেনা কিভাবে শবে কদরের নামাজ পড়তে হয় বা কোন সূরা দিয়ে শবে কদরের নামাজ আদায় করতে হয়।
আর এসব বিষয় জানার জন্য অনেকেই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে শবে কদরের সূরা সম্পর্কে অনুসন্ধান করে থাকে। তাই আমরা আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করেছি শবে কদর নামাজের সূরা সম্পর্কে।
আপনারা যারা শবে কদরের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয় এ বিষয়ে জানতে চান তারা আমাদের এই পোস্টটির সাথে থাকুন। শবে কদরের নামাজ আদায় করতে হলে প্রথমে শবে কদর নামাজের নিয়ত করে তাকবীরে তাহরীমা বেধে সূরা ফাতিহা পড়তে হয়।
দেখুনঃ শবে কদর নামাজের নিয়ম ২০২২
সূরা ফাতিহার সাথে সূরা ইখলাস তিনবার পাঠ করতে হয়। এভাবে প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে সূরা ইখলাস তিনবার পাঠ করে দুই রাকাত দুই রাকাত করে নামাজ আদায় করতে হয়।
শবে কদরের রাতে সকল মুসলিম যিকির, দোয়া ও নফল নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে সকল ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকে। এই রাতে কোন ব্যক্তি যদি আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন।
শবে কদরের নামাজ হচ্ছে নফল ইবাদত। শবে কদরের নামাজের নির্দিষ্ট কোন রাকাত নেয়। যার যত রাখার ইচ্ছা সে তত রাকাত নামাজ আদায় করতে পারে। নফল নামাজ 2 রাকাত 2 রাকাত করে আদায় করতে হয়।
তবে শবে-কদরে 12 রাকাত নামাজ আদায় করা খুবই উত্তম। আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তিকে শবে কদরের নামাজ আদায় করতে বলেছেন।
শবে কদরের রাত অত্যন্ত রহমতপূর্ন একটি রাত। এই রাতে যে যত বেশি আল্লাহ তাআলার ইবাদত করবে তার তত বেশি সওয়াব হবে। শবে কদর নিয়ে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ‘সূরা আল কদর’ নামে একটি সূরা নাযিল করেছেন।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন শবে কদরের রাতের ইবাদত হাজার মাসের নফল এবাদত এর চেয়েও উত্তম। শবে কদরের রাত্রে ফেরেশতাগণ এবং রুহুল কুদ্দুস স্বীয় প্রতিপালকের আদেশে
প্রত্যেক মঙ্গলময় বস্তু নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। শবে কদরের নামাজের জন্য আল্লাহ তাআলা কতগুলো সূরা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টে
শবে কদর নামাজের সূরা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টগুলো পড়েন তাহলে শবে কদর নামাজের সূরা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।