লাইলাতুল কদর সম্পর্কে হাদিস এবং ফজিলত ক্লিক করে জানুন
মুসলমানদের জন্য সবথেকে উত্তম মাস হল রমযান মাস। রমজান মাসের যেকোনো ভালো কাজের জন্য অধিক সওয়াব পাওয়া যায়। কুরআনের প্রতিটি অক্ষরের জন্য 70 গুণ বেশি নেকি পাওয়া যায়। রমজান মাসের মধ্যে একটি রাত রয়েছে।
যার ফজিলত অনেক বেশি। এটি হল লাইলাতুল কদরের রাত। এই রাতে মুসলমানগন আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের আশায় অধিক ইবাদত করে থাকে। এই রাত হাজার রাতের চেয়ে উত্তম রাত।
আপনাদের মধ্যে অনেকেই লায়লাতুল কদর রাত সম্পর্কে হাদিস এর সন্ধান করে থাকেন। এছাড়া অনেকে লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ম জানেনা। আজকের পোস্টে এসকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আপনারা যদি পোস্ট এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েন আশা করি লায়লাতুল কদর সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে সক্ষম হবেন। রমজান মাসে সবথেকে ফজিলতপূর্ণ রাত হল লাইলাতুল কদরের রাত।
এই রাতে মুসলিমগণ আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের আশায় সারারাত জেগে ইবাদত করে থাকে। লাইলাতুল কদর সম্পর্কে অনেক হাদীস রয়েছে। এই হাদীসগুলো পড়লে বোঝা যায় লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব এবং তাৎপর্য কতটা বেশি।
আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা লাইলাতুল কদর সম্পর্কে হাদিস গুলো সন্ধান করে থাকেন। লায়লাতুল কদর সম্পর্কে হাদিস পড়লে বেশি বেশি লায়লাতুল কদর সম্পর্কে জানা যায়।
এছাড়াও হাদীসগুলো বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করলে মুসলমানগন লায়লাতুল কদর সম্পর্কে আরো বেশি ধারণা পাবে। আজকের লাইলাতুল কদর সম্পর্কে হাদিস শেয়ার করা হয়েছে। আশা করি যাদের লাগবে তারা পছন্দমত হাদিস কপি করে নিতে পারেন।
দেখুনঃ শবে কদর নামাজের নিয়ম ২০২২
অনেকেই আছে যারা কদরের নামাজের নিয়ম জানেনা। আজকের পোস্টে লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। নামাজের শুরুতেই প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে জায়নামাজের দোয়া পড়তে হয়।
এরপর লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ত পাঠ করতে হয়। নিয়ত বাংলা অথবা যেকোন ভাবে পাঠ করা যায়। অতঃপর সানা পাঠ করতে হয়। সানা পাঠ করা শেষ হলে সূরা ফাতিহার পর যে কোন একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হয়।
এরপর সুবহানা রব্বিয়াল আযীম বিজোড় সংখ্যকবার বলতে হয়। এরপর সামিয়া লিমান হামিদা রব্বানা লাকাল হামদ বলে সেজদায় যেতে হয়। সেজদায় সুবহানা রাব্বিয়াল আলা বেজোড় সংখ্যকবার বলতে হয়। এরপর আল্লাহ বার বলে পুনরায় সিজদা দিতে হয়।
এভাবে দ্বিতীয় রাকাত আদায় করতে হয়। তবে দ্বিতীয় রাকাতে সেজদা দেয়ার পর যথাক্রমে তাশাহুদ, দুরুদে ইব্রাহিম এবং দোয়া মাসুরা বলতে হয়। সবশেষে মোনাজাত ধরতে হয়। এভাবে যত খুশি তত রাকাত নামাজ আদায় করা যায়।
মুসলমানদের জন্য লাইলাতুল কদরের রাতের তাৎপর্য অনেক বেশি। এ রাতের মর্যাদা সম্পর্কে অনেক হাদীস রয়েছে। এটি মুসলমানদের জন্য একটি মহিমান্বিত রাত। এই রাতকে ভাগ্য নির্ধারণী রজনী বলা হয়।
এই রাতে পবিত্র আল-কুরআন নাযিল হয়েছে। লাইলাতুল কদরের রাত হাজার রাত অপেক্ষা উত্তম রাত। এ রাতে যে যত বেশি ইবাদত করে সে ততো বেশি নেকী পায়। মুসলিম হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত
এই রাতে বেশি বেশি আমল করা। আশা করি আপনারা আমাদের আজকের পোস্টটি পড়ে লাইলাতুল কদরের তাৎপর্য, লাইলাতুল কদরের নামাজ নামাজের নিয়ত ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।