সার্টিফিকেট সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে
আমাদের দেশের অনেক মানুষই আছেন যাদের সার্টিফিকেটে নিজের নামের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভুল হয়ে থাকে। বাবার নামে ভুল হয়ে থাকে অথবা মায়ের নামের বানানের মধ্যে ভুল হয়ে থাকে।
সার্টিফিকেটে নাম ছাড়াও অনেকের বয়সের মধ্যেও ভুল হয়ে থাকে। যার জন্য আমাদের দেশে অনেক সরকারি কর্মক্ষেত্রে বা বিভিন্ন চাকরি ক্ষেত্রে অনেক সময় অনেক সমস্যাই পড়তে হয়।
আর এই সকল সার্টিফিকেট সংশোধন করারও কিছু উপায় রয়েছে। কারো সার্টিফিকেটে যদি কোন ধরনের ভুল হয়ে থাকে তাহলে সে তার সার্টিফিকেট এর ভুলগুলো সংশোধন করতে পারবে।
তাই আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করেছি সার্টিফিকেট সংশোধন করতে কত দিন সময় লাগে এই বিষয়ে। এছাড়াও আমরা এই পোস্টটি আলোচনা করেছি সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন কিভাবে করতে হয়
এবং মাদ্রাসায় বোর্ডের সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে। আপনারা যদি আমাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে আপনারা উক্ত সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
অনেকে আছেন যারা তাদের সার্টিফিকেট এর ভুল সংশোধন করতে চায়। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে সার্টিফিকেট সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে। তাই আমরা এই পোস্টের সার্টিফিকেট সংশোধন
করতে কতদিন সময় লাগে এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। কারো যদি সার্টিফিকেটে কোন ধরনের ভুল থেকে থাকে তাহলে এই ভুল সংশোধন করার জন্য প্রথমে তাকে একটি আবেদন করতে হবে।
আবেদন করার পর তাকে তিন মাস অথবা চার মাস পর এসএমএস বা কলের মাধ্যমে ইন্টারভিউ এর জন্য বোর্ডে ঢাকা হবে এবং সেখানে তার কিছু ডকুমেন্ট নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হবে।
যেমন- এফিডেভিট, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার একটি কপি, সংশোধনকৃত সার্টিফিকেট, জন্ম সনদ, এডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ইত্যাদি। তখন তারা এই সকল কাগজপত্রগুলো দেখে যদি তারা মনে করেন
যে তার সার্টিফিকেটটি সংশোধন করা যাবে তাহলে তখন তারা তার সার্টিফিকেটটি সংশোধন করে দেবে। সার্টিফিকেট সংশোধন করতে হলে প্রথমেই একটি আবেদন করতে হয়। আবেদন দুটি উপায়ে করা যায়।
একটি হচ্ছে অফলাইনে অন্যটি হচ্ছে অনলাইনে। বর্তমান সময়ে অফলাইনের চেয়ে অনলাইনে মানুষ বেশি আবেদন করে থাকে। কারণ অনলাইনে আবেদন করলে সময় অপচয় কম হয়।
আপনারা চাইলে আপনাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বা কম্পিউটারের মাধ্যমে সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন। সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন করতে হলে আপনাদেরকে প্রথমে একটি ব্রাউজারে প্রবেশ করতে হবে
এবং সেখানে এডুকেশন বোর্ড লেখার পর আপনি যেই বোর্ড এর সার্টিফিকেট সংশোধন করবেন সেই বোর্ডের নাম লিখে সার্চ দিতে হবে। এরপর এই বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নাম ও বয়স সংশোধন লেখাটিতে ক্লিক করতে হবে।
এই লেখাটিতে ক্লিক করলে আরো কতগুলো তথ্য চাওয়া হবে। আপনাকে উল্লেখিত সকল তথ্যগুলো প্রদান করতে হবে এবং আবেদন করার জন্য আপনাদেরকে বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং
এর মাধ্যমে ৫০০ টাকা পরিমাণে ফি প্রদান করতে হবে। আর এটি প্রদান করার পরই আপনার সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদনটি করা হয়ে যাবে। কেউ যদি মাদ্রাসা থেকে পড়ালেখা করে
থাকে সেক্ষেত্রে যদি তার সার্টিফিকেটে কোন ভুল থাকে তাহলে সে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে তার সার্টিফিকেটটি সংশোধন করতে পারবে। এজন্য তাকে একটি ব্রাউজারে প্রবেশ করে সে যে মাদ্রাসা বোর্ডের
সার্টিফিকেট সংশোধন করতে চায় সেই মাদ্রাসা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং ওয়েবসাইটিতে প্রবেশ করার পর তাকে সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন করতে হবে
এবং আবেদন করার পর দুই তিন মাস পর ওই মাদ্রাসা বোর্ড থেকে তাকে ডাকা হবে। সেখানে তাকে তার মাদ্রাসা বোর্ডের বিভিন্ন ধরনের সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে হবে। আর তখন তারা তার মাদ্রাসা বোর্ড এর সার্টিফিকেটটি সংশোধন করে দিবে।