ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম ২০২৪ এবং আরবি নিয়ত (ক্লিক করে দেখুন)
ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। ত্যাগ ও উৎসর্গের ঈদ কোরবানি। প্রতি বছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ এর ঈদ পালিত হয় ।সে হিসেবে আগামী ১০ জুলাই পবিত্র কোরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হবে। বছরে দুইবার ঈদে নামাজ পড়া হয়
দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে অনেকেই ঈদের নামাজের নিয়ম গুলো ভুলে যান, তাই মুসলিম উম্মাহর সুবিধার্থে ঈদুল আযহার নামাজ পড়ার নিয়ম গুলো এই পোস্টে তুলে ধরা হলো।
বছর ঘুরে আমাদের মাঝে হাজির হলো পবিত্র ঈদুল আযহা। মহান আল্লাহ মুসলমানদের জন্য দুটি দিনকে ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারিত করেছে এই দিনগুলোতে ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব।
Table of Contents
ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম ২০২৪
পবিত্র কোরানে মহান আল্লাহ এরশাদ করেছেন অতএব তোমরা রবের উদ্দেশে নামাজ পড়ো এবং নহর করো। (সূরা আল কাউসার আয়াত ২) ঈদের নামাজের পদ্ধতি স্বাভাবিক নামাজের মত নয় যেমন ঈদের
দুই রাকাত নামাজের কোনো আজান ঠিকমত নেই। এতে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবীর রয়েছে সেগুলো আদায় নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। নিম্নে নিয়ম গুলো তুলে ধরা হলো- প্রথমে স্বাভাবিক নামাজের মতোই তাকবির তাহরিমা বলে হাত বাঁধতে হবে, তারপর থানা পাঠ করতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর বলতে হবে প্রথম দুই তাকবীরে হাত তুলে ছেড়ে দেবেন এবং তৃতীয় তাকবীরে হাত বেধে ফেলবেন। তৃতীয়ঃ তারপর আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ার পর ইমাম সূরা ফাতিহা পড়বে এর সঙ্গে অন্য একটি সূরা মিলাবেন।
মহিলাদের ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ম
চতুর্থঃতারপর স্বাভাবিক নামাজের মতো রুকু সিজদা করে প্রথম রাকাত শেষ করবেন। পঞ্চমঃ দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম কিরাত পড়া শেষে রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিন তাকবীর দেবেন প্রতিটি তাকবিরের সঙ্গে হাত উঠাবেন
মহিলাদের ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ম
এবং ছেড়ে দেবেন তারপর চতুর্থ তাকবির বলে রুকুতে চলে যাবেন। ষষ্ঠঃ তারপর স্বাভাবিক নামাজের মতোই নামাজ শেষ করবেন। সপ্তমঃ নামাজ শেষে ইমাম মিম্বারে উঠবেন দুটি খুতবা দেবেন এ সময় ইমামের খুতবা মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে
কোন ধরনের কথা বলা বা অন্য কাজে ব্যস্ত হওয়া যাবে না। অষ্টমঃ খুতবার শেষে সবাই ঈদগাহ ত্যাগ করবেন। ঈদুল ফিতরের নামাজের মত ঈদুল আযহার নামাজ ও দুই রাকাত ৬ রাকাত তাকবির।
ঈদুল আজহার নামাজের আরবি নিয়ত ও নিয়ম
ঈদুল আযহা নামাজের আরবি নিয়তের বাংলা উচ্চারণ -‘নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা আলা রাকয়াতাই ছালাতি ঈদিল আযহা মাআ ছিওাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তা আলা ইক্কতাদাইতু বিহাজাল ইমামি
মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার’। অনেকের ধারণা নামাজের নিয়ত আরবিতে করা জরুরী এমনটি ঠিক নয় যেকোনো ভাষাতেই নামাজ নিয়ত করা যায় নিয়ত মনে মনে করাই যথেষ্ট।
মুসলিমগণ ঈদুল আযহার নামাজ মসজিদ বা খোলা মাঠে আদায় করে থাকেন। ঈদের নামাজ জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখে সূর্য উদয়ের পর থেকে জোহর নামাজের সময় হওয়ার আগ পর্যন্ত
ঈদুল আযাহার নামাজের নিয়ত
মধ্যবর্তী সময়ে যে কোন সময় আদায় করা হয়ে থাকে। ঈদুল আযহা হচ্ছে ত্যাগের উৎসব। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটি ধর্মীয় উৎসবের দ্বিতীয়টি। চলিত কথনে এই উৎসবটি কুরবানী ঈদ নামেও পরিচিত।
এই উৎসবকে ঈদুজ্জোহাও বলা হয়। ঈদুল আযহা মূলত আরবি বাঁকা অংশ এর অর্থ হল ত্যাগের উৎস এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ত্যাগ করা। এ দিনটিতে মুসলমানেরা ফজরের নামাজের পর ঈদগাহে গিয়ে
দুই রাকাত ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করে ও অব্যবহিত করে স্ব স্ব আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ও আল্লাহর নামে কুরবানী করে থাকেন।