শপথ বাক্য বাংলাদেশ [নতুন শপথ বাক্য পাঠের নিয়ম]
আপনারা কি শপথ বাক্য পাঠ করতে চান? যদি আপনারা শপথ বাক্য পাঠ করতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য। কারণ আমরা আমাদের এই পোস্টে আজকে আলোচনা করেছি শপথ বাক্য নিয়ে।
তাই দেরি না করে এখনি আমাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ে ফেলুন। আমাদের দেশের নাম হচ্ছে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ হচ্ছে একটি স্বাধীন দেশ।
পশ্চিম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের সাথে রক্তকয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা আমাদের এই দেশকে স্বাধীন করতে পেরেছি। এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য আমাদের দেশের প্রায় 30 লক্ষ মানুষের তাজা রক্ত ঝরেছে।
Table of Contents
শপথ বাক্য বাংলাদেশ
অসহায় হয়েছে অনেক ছোট ছোট শিশুরা। আর এর জন্যই এখন আমরা আমাদের এই দেশকে নিয়ে গর্ববোধ করি। আমাদের দেশের সকল শিশুদেরকে তাদের দেশের স্বাধীনের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয় একটি শপথ বাক্যের মাধ্যমে
এবং তাদেরকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ করা হয় দেশকে রক্ষা করার জন্য এবং দেশের সেবা করার জন্য। আমাদের দেশে সরকারি বেসরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়,
উচ্চ মাধ্যমিক সকল বিদ্যালয়গুলোতে প্রাত্যহিক সমাবেশ এর মাধ্যমে একটি শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়াও দেশের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে অনেক চাকরিজীবীদেরকেও শপথপাঠ করানো হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শপথ বাক্য
স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের দেশের স্কুল প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে শপথ বাক্যটি পাঠ করানো হতো সেটি হচ্ছে- “আমি শপথ করছি যে, দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব।
দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সচেষ্ট হইবো। অন্যায় ও দুর্নীতি করিব না এবং অন্যায়ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিব না। হে প্রভু, আমাকে শক্তি দিন। আমি যেন দেশের সেবা করতে পারি এবং বাংলাদেশকে
একটি আদর্শ ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়িয়া তুলিতে পারি।” আমাদের দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতেও ক্লাস শুরুর আগে প্রাত্যহিক সমাবেশ করানো হয়।
নতুন শপথ বাক্য পাঠের নিয়ম
যা এসেম্বলি নামে ও পরিচিত। এই এসেম্বলির মাধ্যমে শরীর চর্চা করা হয় এবং সেই সাথে জাতীয় সংগীত শপথ পাঠ করানো হয়। এর মাধ্যমে দেশের সকল শিক্ষার্থীরা দেশ প্রেমে আগ্রহী হয়। কিন্তু ২০২২ সালে দেশের বেসরকারি ও সরকারি সকল শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন শপথ বাক্য পাঠ করার দিক নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রনালয়। বর্তমান সময়ে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে যে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয় সেটি হচ্ছে– “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।
মাদ্রাসার শপথ বাক্য
আমি দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহিদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক
চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।” অনেকেই আছেন যারা দেশের জন্য শপথ বাক্য পাঠ করতে চান। আর এর জন্য অনেকে অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে
দেশের শপথ বাক্যের অনুসন্ধান করে থাকে। তাই আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য কতগুলো পোস্টে শপথ বাক্য প্রকাশ করেছি। আপনারা চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টগুলো পড়তে পারেন।