শবে কদর নিয়ে স্ট্যাটাস, শুভেচ্ছা মেসেজ এবং ফেসবুক স্ট্যাটাস (দেখুন)
অনেকে তাদের বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদিতে শবে কদর নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস, ছন্দ, উক্তি বা বাণী, কবিতা ছবি ইত্যাদি আপলোড দিতে চায়।
আর এসব বিষয়ে আপলোড দেওয়ার জন্য তারা অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সুন্দর সুন্দর স্ট্যাটাস বা উক্তি অনুসন্ধান করে থাকে। আর তাই আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্টে শবে কদর নিয়ে কতগুলো স্ট্যাটাস সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
আপনারা যারা শবে কদর নিয়ে সুন্দর সুন্দর স্ট্যাটাস ডাউনলোড দিতে চান বা দেখতে চান তারা আমাদের এই পোস্টটির সাথে থাকুন। এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা শবে কদর নিয়ে সুন্দর সুন্দর স্ট্যাটাস পেয়ে যাবেন।
শবে কদরের রাত হচ্ছে খুবই ফজিলতপূর্ণ একটি রাত। এই রাতে আল্লাহ তাআলা আমাদের নবী করিম হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর সম্পূর্ণ কুরআন মাজীদ একত্রে নাজিম করেছিলেন।
পবিত্র কুরআন হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ আসমানী কিতাব। আর শবে কদরের রাতে এই পবিত্র কোরআন সম্পূর্ন নাযিল হয়েছে বিধায় এই রাতকে খুবই মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মুসলমানের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন
এবং প্রত্যেক মুসলমান ব্যক্তিকে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। কেউ যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় না করে তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আল্লাহ তাআলার এই ফরজ নামাজ বাদেও কতগুলো সুন্নত ও নফল নামাজ রয়েছে।
এই সুন্নত ও নফল নামাজগুলোর মধ্যে শবে কদরের নামাজ একটি। শবে কদরের নামাজ হচ্ছে আল্লাহ তাআলার একটি নফল ইবাদত। শবে কদরের রাতে আল্লাহ তাআলার প্রত্যেক বান্দা-বান্দী গণ
দেখুনঃ শবে কদর নামাজের নিয়ম ২০২২
সারারাত জেগে আল্লাহ তাআলার জিকির, দোয়া ও নফল ইবাদত করে থাকে। শবে কদরের রাতে আল্লাহ তাআলা সকল ব্যক্তির দোয়া কবুল করেন। শবে কদরের নামাজ আদায় করে কোনো ব্যক্তি যদি আল্লাহ তাআলার কাছে মন
থেকে তার সকল ভুলের জন্য ক্ষমা চায় তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও প্রত্যেক মুসলমানকে শবে কদরের নামাজ আদায় করতে বলেছেন।
শবে কদরের নামাজ আদায় করতে হয় বেজোড় রাতে। আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন রমজান মাসের শেষ দশ দিনের কোন এক বেজোড় রাত হচ্ছে শবে কদরের রাত। যেমন – 21, 23, 25, 27, 29
এই পাঁচটি রোজার যেকোনো এক বেজোড় রাত আল্লাহর এবাদত করে শবে কদর লাভ করবে। অনেকে মনে করেন যে শুধুমাত্র 27 রমজানের রাত হচ্ছে শবে কদরের রাত। তবে এটি একটি ভুল ধারণা। রমজান মাস হচ্ছে রহমতের মাস।
এই মাসে আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতে অসংখ্য রহমতের ফেরেশতা নাযিল করেন এবং জাহান্নামের সকল দরজা বন্ধ করে দেন। আর এই রমজান মাসের মধ্যে সবচেয়ে রহমতপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ রাত হচ্ছে শবে কদরের রাত।
এই রাত সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সূরা আল কদর নামে একটি সূরা নাযিল করেছেন। সূরা আল কদরে শবে কদরের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। একটি নফল নামাজ বিদায় যার যত রাকাত ইচ্ছা সে তত রাকাত নামাজ আদায় করতে পারে।
শবে কদর নামাজের নির্দিষ্ট কোন রাকাত নেই। আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টে শবে কদর নিয়ে কথাগুলো সুন্দর সুন্দর স্ট্যাটাস তুলে ধরা হয়েছে। আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টগুলো পড়েন তাহলে শবে কদরের সুন্দর সুন্দর স্ট্যাটাস ডাউনলোড দিতে পারবেন।