শবে কদরের নামাজ সুন্নত নাকি নফল (জানতে এখানে ক্লিক করতে হবে)
আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব শবে কদরের নামাজ সুন্নত নাকি নফল এই বিষয়ে এবং শবে কদর নামাজ কোন দিন পড়তে হয় ও শবে কদরের নামাজ কত রাকাত পড়তে হয় এ বিষয়ে। আপনারা যারা এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী
তারা আমাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়লে সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। শবে কদরের রাত হচ্ছে খুবই ফজিলতপূর্ণ একটি রাত। এই রাতে আল্লাহ তাআলার বান্দা বান্দীগণ সারারাত জেগে
আল্লাহ তাআলার ইবাদত করে থাকে। শবে কদরের রাতে আল্লাহ তাআলা সম্পূর্ণ কুরআন মাজীদ নাযিল করেছিলেন। ইসলাম আল্লাহ তাআলার একমাত্র মনোনীত ধর্ম। ইসলামের মূল ভিত্তি হচ্ছে পাঁচটি।
পাঁচটি মূলভিত্তির মধ্যে নামাজ একটি। নামাজ আল্লাহ তাআলার একটি ফরজ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মুসলমানের উপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ করে দিয়েছেন।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ছাড়া ও আল্লাহ তাআলা তার এবাদত এর জন্য কতগুলো সুন্নত ও নফল নামাজ আদায় করতে বলেছেন। এই সুন্নত ও নফল নামাজ গুলোর মধ্যে শবে কদর এর নামাজ হচ্ছে একটি।
শবে কদরের নামাজ সুন্নত নাকি নফল এই বিষয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে। এই বিষয়ে জানার জন্য অনেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করে থাকে। তাই আমরা আমাদের এই পোস্টে শবে কদরের নামাজ সুন্নত নাকি নফল
এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। শবে কদরের নামাজ হচ্ছে নফল নামাজ এই নামাজ আদায় করা বাধ্যতামূলক নয় বা ফরজ নয়। তবে এই নামাজে অনেক ফজিলত রয়েছে। রমজান মাস হচ্ছে ফজিলতপূর্ণ মাস।
দেখুনঃ শবে কদর নামাজের নিয়ম ২০২২
এই মাসে আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতে রহমতের ফেরেশতা নাযিল করেন। রমজান মাসে আল্লাহ তাআলা জাহান্নামের সকল দরজা বন্ধ করে দেন। আর এই রমজান মাসের মধ্যে সবচেয়ে রহমতপূর্ণ রাত হচ্ছে শবে কদরের রাত।
অনেকে মনে করেন যে 27 রোজার রাত হচ্ছে শবে কদরের রাত। কিন্তু এই ধারনাটা ভুল। আমাদের নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন রমজান মাসের শেষ দশ দিনের যেকোনো এক বেজোড় রাত হচ্ছে কদরের রাত।
যেমন -21, 23, 25, 27, 29 এই পাঁচ রাত জেগে এবাদতকারী শবে কদর লাভ করবে। এই রাতে যদি কেউ আল্লাহ তাআলার ইবাদত বন্দেগী করে এবং তার কাছে সকল ভুলের জন্য ক্ষমা চায় তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেন।
শবে কদরের নামাজ এর কোনো নির্দিষ্ট রাকাত নেই। যার যত রাকাত ইচ্ছে হয় সে তত রাকাত নামাজই আদায় করতে পারে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন কদরের রাত হাজার মাস হতে উত্তম।
কদরের রাতে ফেরেশতাগণ এবং রুহুল কুদ্দুস স্বীয় প্রতিপালকের প্রতিপালকের আদেশে প্রত্যেক মঙ্গলময় বস্তু নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং সেই রাত ফজর পর্যন্ত বরকতময় থাকে।
শাবান মাসের 14 তারিখে দিবাগত রাতকে শবে বরাত বলা হয়। এই রাতে আল্লাহ তাআলা বান্দার হায়াত, মওত, রিজিক, দৌলত বন্টন করে থাকেন এবং ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে ক্ষমা করে দেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন শবে বরাতের রাত্রে ইবাদতের উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় যে ব্যক্তি গোসল করবে তার শরীরের প্রতিটি পানির বিন্দুর পরিবর্তে তার আমলনামায় 700 রাকাত
নফল নামাজের সওয়াব লেখা হবে। শবে বরাতের নামাজ এর নির্দিষ্ট কোন রাকাত নেয়।তবে 12 রাকাত নামাজ আদায় করা উত্তম। কেউ চাইলে সারারাত জেগে শবে বরাতের নামাজ আদায় করতে পারবে।