শবে কদরের নামাজ কত রাকাত (বিস্তারিত এখানে জানুন)
অনেক মুসলিম ব্যক্তিরা জানেনা যে শবে কদরের নামাজ কত রাকাত বা শবে কদর নামাজের নিয়ত কিভাবে করতে হয় এবং শবে কদরের নামাজে কি কি সূরা পড়তে হয়। আর এইসব বিষয়ে জানার জন্য অনেকেই অনলাইনে বিভিন্ন
ওয়েবসাইটে এসব বিষয়ে অনুসন্ধান করে থাকে। আর তাই অনুসন্ধানকারীর পড়ার সুবিধার্থে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্টে শবে কদর নামাজের রাকাত শবে কদর নামাজের নিয়ত ও শবে কদরের সূরা সম্পর্কে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছি।
আপনারা যারা উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তারা আমাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা শবে কদর সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পারবেন।
শবে কদরের রাত হচ্ছে অনেক ফজিলত পূর্ণ একটি রাত। কারণ এই রাতে আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ওপর সম্পূর্ণ কোরআন নাজিল করা হয়েছিল। শবে কদরের রাতকে খুবই মর্যাদা দেওয়া হয়।
শবে কদর হচ্ছে ফারসি শব্দ। শবে কদরের আরবি শব্দ হচ্ছে লাইলাতুল কদর। শবে কদরের অর্থ হচ্ছে মর্যাদাপূর্ণ রাত বা ভাগ্য রজনী। আল্লাহ তাআলা পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ বাদেও কতগুলো সুন্নত ও নফল নামাজ আদায় করতে বলেছেন।
এই সুন্নত ও নফল নামাজের মধ্যে শবে কদরের নামাজ হচ্ছে নফল এবাদত। শবে কদরের নামাজের নির্দিষ্ট কোন রাকাত নেই। তাই যার যত রাকাত ইচ্ছে হয় সে তত রাকাত নামাজ আদায় করতে পারে।
যেমন, কেউ চাইলে চার রাকাত আদায় করতে পারবে আবার কেউ 8 রাকাত, কেউ 12 রাকাত বা 20 রাকাত। ফজর পর্যন্ত যার যত রাকাত ইচ্ছে হয় সে তত রাকাতে শবে কদরের নামাজ আদায় করতে পারবে।
দেখুনঃ শবে কদর নামাজের নিয়ম ২০২২
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে আল কদর নামে একটি সূরা নাযিল করেছেন। এই সূরাতে আল্লাহ তাআলা শবে কদর সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন কদরের রাতের ইবাদত হাজার মাস এবাদত এর চেয়েও উত্তম।
শবে কদরের নামাজ হচ্ছে নফল ইবাদত রমজান মাসের শেষ দশ দিনের কোন এক বেজোড় রাত হচ্ছে শব-ই-কদর। শবে কদরের রাতে যার যত খুশি সে ততো রাকাত নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেন।
শবে কদর নামাজ আদায় করার জন্য প্রথমে শবে কদরের নামাজের নিয়ত করতে হয়। কিন্তু অনেকেই শবে কদর নামাজের নিয়ত কিভাবে করতে হয় তা জানেনা। তাই আমরা আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে
শবে কদরের নিয়ত কিভাবে করতে হয় তা জানাবো। শবে কদর নামাজের নিয়ত করতে হলে প্রথমে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে বলতে হবে ” নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রাক’আতাই সালাতিল লাইলাতুল কাদরি
মোতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর” অর্থঃ আমি আল্লাহ তাআলার জন্য কিবলার দিকে মুখ করে শবে কদরের দুই রাকাত নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম আল্লাহু আকবার
শবে কদরের নামাজ আদায়ের জন্য আল্লাহ তাআলা কতগুলো সূরা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এই সূরাগুলো দিয়ে শবে কদরের নামাজ আদায় করা উত্তম। শবে কদরে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে প্রথমে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে।
এরপর সূরা ফাতিহার সাথে 3 বার সূরা ইখলাস পড়তে হবে। এভাবে প্রতি রাকাতে একইভাবে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে এবং তিনবার সূরা ইখলাস পড়তে হবে। এই সূরা গুলো দিয়েই শবে কদরের নামাজ আদায় করা হয়ে থাকে।
ভালো লাগলো
thanks for sharing