শবে কদর নিয়ে কবিতা, গান, ছন্দ, গজল দেখুন
রমজান মাস হচ্ছে একটি রহমতের মাস। এই মাসে আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতে অসংখ্য রহমতের ফেরেশতা নাযিল করেন। এই রহমতের ফেরেশতারা রোজাদার ব্যক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকে। রমজান মাসের সবচেয়ে রহমতপূর্ণ
ও ফজিলতপূর্ণ রাত হচ্ছে শবে কদর এর রাত। শবে কদরে আল্লাহ তাআলা অনেক ফজিলত দান করেছেন। আর এই শবে কদর নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের কবিতা পড়তে চায় এবং তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
আপলোড দিতে চায় আর এসব খোঁজার জন্য তারা অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে থাকে। তাই আজকে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্টে আলোচনা করব শবে কদরের কবিতা নিয়ে।
আপনারা যারা শবে কদরের সুন্দর সুন্দর কবিতার অনুসন্ধান করছেন তারা যদি আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে শবে কদরের সুন্দর সুন্দর কবিতা পরতে পারবেন এবং তা আপলোড দেওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট
থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। শবে কদর হচ্ছে ফজিলতপূর্ণ একটি রাত। আল্লাহ তাআলা শবে কদরে অনেক ফজিলত দান করেছেন। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক ব্যক্তির উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন।
আল্লাহর নির্ধারিত সময়ে প্রত্যেক মুসলমান ব্যক্তিকে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। কেউ যদি এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় না করে তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে না।
আল্লাহ তাআলার কাছে ফরজ ইবাদতের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। ফরয নামায ছাড়াও আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মুসলমান ব্যক্তিকে কতগুলো সুন্নত ও নফল নামাজ আদায় করতে বলেছেন। আর এই সকল সুন্নত ও
দেখুনঃ শবে কদর নামাজের নিয়ম ২০২২
নফল নামাজগুলোর মধ্যে শবে কদরের নামাজ হচ্ছে একটি। শবে কদর এর নামাজ হচ্ছে আল্লাহ তাআলার একটি নফল ইবাদত। শবে কদর হচ্ছে ফারসি শব্দ। এর আরবি শব্দ হচ্ছে লাইলাতুল কদর। শবে শব্দের অর্থ হচ্ছে মর্যাদা, সম্মান ও ভাগ্য।
আর কদর শব্দের অর্থ হচ্ছে রজনী। অর্থাৎ শবে কদর শব্দের অর্থ হচ্ছে মর্যাদাপূর্ণ রাত বা ভাগ্য রজনী। রমজান মাসের শেষ দশ দিনের মধ্যে যেকোনো এক বেজোড় রাত হচ্ছে শবে কদরের রাত।
আর এই বেজোড় রাত গুলো হচ্ছে 21, 2, 25, 27 ও 29। এ বেজোড় রাতগুলোতে আল্লাহর এবাদতকারী ব্যক্তিগণ শবে কদর লাভ করবে। আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক ব্যক্তিকে শবে কদরের নামাজ আদায় করতে বলেছেন।
শবে কদরের নামাজ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বর্ণনা দিতে গিয়ে একটি সূরা নাযিল করেন। সূরাটির নাম হচ্ছে ‘সূরা আল কদর’। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন শবে কদরের রাতের
এবাদত হাজার মাসের এবাদতের চেয়ে উত্তম। তাই আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত শবে কদরের রাতে আল্লাহ তাআলার ইবাদত করা। কদরের রাতে মুসলমান ব্যক্তিরা আল্লাহর জিকির,
দোয়া ও নফল ইবাদত করে থাকে এবং আল্লাহর কাছে সকল ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকে। শবে কদর রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে বা দোয়া চাইলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন এবং তার দোয়া কবুল করেন। শবে কদরের নামাজ একটি নফল ইবাদত বলে
এ নামাযের কোন নির্দিষ্ট রাকাত নেই। তাই প্রত্যেকে তাদের ইচ্ছেমতো এই নামাজ আদায় করতে পারে। শবে কদরের রাত ফজরের আগে পর্যন্ত বরকতময় থাকে। শবে কদরের রাতে ফেরেশতাগণ মঙ্গলময় বস্তু নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন।
আর এই সবে কদর নিয়ে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য কতগুলো পোস্টে সুন্দর সুন্দর কবিতা প্রকাশ করেছি। আপনারা শবে কদর নিয়ে যদি সুন্দর সুন্দর কবিতা পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টগুলো পড়ুন।