শবে কদর সম্পর্কিত হাদিস সমূহ এবং কোরআনের আয়াত (এখানে দেখুন)
শবে বরাতের মত শবে কদরের রাত ও আল্লাহর কাছে উত্তম এক রাত। আপনারা অনেকেই শবে কদর সম্পর্কে ও শবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস পড়তে চান। তাই আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব
শবে কদর সম্পর্কে হাদিস ও শবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে। আমাদের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা শবে কদর সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস জানতে পারবেন। আল্লাহ তাআলার বিভিন্ন ফরজ ইবাদত
ছাড়াও কতগুলো সুন্নত ও নফল ইবাদত রয়েছে। যেগুলো করলে আল্লাহ তাআলা অনেক সওয়াব দান করেন। শবে কদর হচ্ছে আল্লাহ তাআলার একটি নফল ইবাদত। শবে কদর হচ্ছে ফারসি শব্দ। শবে কদরের আরবি শব্দ হচ্ছে লাইলাতুল কদর।
শবে কদর শব্দের অর্থ হচ্ছে মর্যাদাপূর্ণ রাত বা ভাগ্য রজনী। কারণ এই রাতে আল্লাহ তাআলা সম্পূর্ণ কুরআন একত্রে নাযিল করেছিলেন। রমজান মাসের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ রাত হচ্ছে শবে কদরের রাত।
বিভিন্ন ধরনের হাদিসে শবে কদর সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। অনেকেই শবে কদর সম্পর্কে অনেক কিছু জানেনা। তাই তারা শবে কদর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে শবে কদর সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস পড়ে থাকে।
আর এর জন্য তারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে কতগুলো পোস্টে শবে কদর সম্পর্কে কতগুলো হাদিস প্রকাশ করেছি। আপনারা যারা শবে কদর সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের হাদিস পড়তে চান?
তারা আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টগুলো পড়লে শবে কদরের বিভিন্ন হাদিস এর বর্ণনা পেয়ে যাবেন। শবে কদর সম্পর্কিত হাদিস ছাড়াও আমাদের ওয়েবসাইটে ইসলামিক বিষয়ে আরো কতগুলো হাদিস সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
দেখুনঃ শবে কদর নামাজের নিয়ম ২০২২
আপনারা যদি আমাদের পোস্টে নিয়মিত ভিজিট করতে থাকেন তাহলে আপনারা ইসলাম সম্পর্কিত বিভিন্ন হাদিস সম্পর্কে জানতে পারবেন। লায়লাতুল কদর ও শবে কদর একই কথা।
লাইলাতুল কদর হচ্ছে আরবি শব্দ শবে কদর হচ্ছে ফারসি শব্দ। রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর এর নামাজ পড়তে হয়। রমজান মাসের শেষ দশ দিনের যেকোনো এক বিজোড় রাত হচ্ছে কদরের রাত।
যেমন – 21, 23, 2, 27, 29 এই পাঁচ রাত জেগে ইবাদত করলে শবে কদর এর সওয়াব লাভ করা যায়। আল্লাহ তাআলা শবে কদরের অনেক ফজিলত দান করেছেন। লাইলাতুল কদর সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন
কদরের রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। শবে কদরের রাতে আল্লাহ তাআলা সম্পূর্ণ পবিত্র কুরআন নাযিল করেছেন। এই রাতে যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে
এবং দোয়া করবে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন এবং তার দোয়া কবুল করবেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শবে কদর সম্পর্কে কতগুলো হাদিস বর্ণনা করেছেন। এ হাদীস গুলো হচ্ছে— হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) হতে বর্ণিত,
” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে উপদেশ দিলেন এবং বললেন, আমাকে লাইলাতুল কদর দেখানো হয়েছিল কিন্তু পরে তা বুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তবে তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর অন্বেষণ করো।” (সহীহ মুসলিম)
ইবনে মাজাহ শরীফে উল্লেখ রয়েছেঃ হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন, “যে লোক শবে কদর থেকে বঞ্চিত হল সে যেন সমগ্র কল্যাণ থেকে পরিপূর্ণ বঞ্চিত হল।”