শবে কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য, গুরুত্ব, করনীয় ও বর্জনীয় (দেখে নিন)
এই বছর 28 এপ্রিল 2022 সালে দিবাগত রাত্রে শবে কদর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আপনারা ইতিমধ্যে জানেন যে 27 শে রমজান শবে কদর অর্থাৎ লাইলাতুল কদর নামে পরিচিত। সারা পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মুসলমান 26 রমজান
দিবাগত রাতে লাইলাতুল কদর এবং শবে কদরের নামাজ আদায় করে থাকে। তাই আজকে আমাদের এই পোস্টে শবে কদর নিয়ে আলোচনা করা হবে। সাধারণত মুসলিম ভাই ও বোনেরা অনেকেই শবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন।
তবে আমি বলব যে আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি শবে কদরের ফজিলত জানতে পারবেন। সাধারণত শবে কদরের ফজিলত বলে শেষ করা যাবে না। হাজার মাসের থেকে উত্তম মাস
এটি এবং প্রত্যেক রোজাদার বান্দাকে আল্লাহ নিজ হাতে তাদের পুরস্কৃত করবেন। দেখতে দেখতে রোজা প্রায় শেষের দিকে। 2 এপ্রিল এই বছর পবিত্র রোজা শুরু হয়েছিল। আজকে 26 রোজা শেষ হলো। এখন আমরা শবে কদরের নামাজ আদায় করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তাই সাধারণত আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন শবে কদরের ফজিলত। তবে আমি বলবো যে এই রাত হাজার রাতের থেকে উত্তম এই রাত। এই রাতেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তবে আমাদের দেশে বেশির
ভাগ ক্ষেত্রেই শবে কদর অর্থাৎ লাইলাতুল কদরের নামাজ 26 রমজানের পর দিবাগত রাতে আদায় করা হয়ে থাকে। এবং এই নামাজ নফল নামাজ হিসাবে আদায় করি। তবে শবে কদর অর্থাৎ লায়লাতুল কদর পাওয়ার জন্য ইসলাম ধর্মে
রোজার শেষ দশের বিজোড় সংখ্যা কাকে বেছে নিতে বলেছেন। সেই হিসাবে লাইলাতুল কদর 21, 23, 25, 27, 29 রমজান হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবে লাইলাতুল কদর অর্থাৎ শবেবরাত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি 27 রমজান।
দেখুনঃ শবে কদর নামাজের নিয়ম ২০২২
তাই সাধারণত বেশিরভাগ মানুষ এই রাতেই শবে কদরের জন্য সারারাত দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করে। এছাড়া পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে অন্যান্য মাসের তুলনায় এই মাসের ইবাদত করলে
তার কয়েক গুন সওয়াব আল্লাহতালা বান্দাদেরকে দিয়ে থাকে। এছাড়া এড়াতে অনেকের গুনা আল্লাহ মাফ করে দেয়। সুতরাং সারারাত ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে প্রত্যেক মুসলমান নারী পুরুষ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।
এবং ভবিষ্যতে সৎ পথে থাকার জন্য ভালোভাবে চলার জন্য দোয়া করে থাকে। শবে বরাতে অর্থাৎ লাইলাতুল কদরে আমাদের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন নাজিল হয়েছিল। সুতরাং এই দিনটির ফজিলত অপরিসীম।
তাই আপনি এই দিনটিতে সারারাত ইবাদত করতে পারেন। তাই প্রত্যেকের উচিত এই দিবাগত রাত্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সারারাত ইবাদত করা। এছাড়া আপনি চাইলে লায়লাতুল কদর রাতে কোরআন তেলাওয়াতও করতে পারেন।
এছাড়া আপনি চাইলে এই রাত্রে গরীব মিসকিনদের কে দান খয়রাত করতে পারেন। কারণ অন্যান্য মাসের থেকে এই মাসে দান করলে 70 গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। সত্যিকার অর্থে রমজান মাস মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষদের কাছে
অন্যান্য মানুষের থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মাসে আমরা ধনী-গরিব সবাই একসাথে রোজা পালন করি। রোজা পালন শেষে ঈদের নামাজ আমরা ঈদগাহে গিয়ে একসাথে আদায় করি এর মধ্যে ধনী-গরিব বৈষম্য অনেকটাই কমে যায়।
এছাড়া আমরা যাকাত এবং ফিতরা গরীবদের মাঝে বন্টন করে। যার ফলে অসহায় মানুষের দুঃখ-কষ্ট অনেকাংশেই কমে যায় তাই আমাদের উচিত। যাদের উপর যাকাত ফরজ এবং ফিতরা দেওয়া জায়েজ তারা যেন এটি আদায় করি।
সুতরাং 26 রমজান দিবাগত রাত্রে লাইলাতুল কদরের অর্থাৎ শবে কদরের নামাজ আদায় করুন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সারারাত ইবাদত করুন। যাতে আল্লাহ আপনার এই নামাজের ওসিলাই আপনার সকল গুনা মাফ করে দেয়।