কনস্টেবল পদে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পেলেন ৩ হাজার প্রার্থী

বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে। এবছর তিন হাজার নারী ও পুরুষকে নিয়োগ দিতে চলেছে বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃপক্ষ। মেধা ও শারীরিক ভাবে যোগ্য প্রার্থীদের এবছর চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তর। আজ শনিবার ২৭ শে নভেম্বর পুলিশ সদরদপ্তরের মিডিয়া শাখার এআইজি মোঃ কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় যে এবছর কোন ধরনের দুর্নীতি ছাড়াই বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানান যে এবছর ৩০০০ শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন পড়েছিলো প্রায় ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫৩৪ জন। তবে প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল এক লাখ ১৭ হাজার ৬৮ জন। পরবর্তী ধাপ শারীরিক সক্ষমতা যাচাই শেষে ২৩,৬৯০ লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত হন।
লিখিত পরীক্ষায় শুধুমাত্র ৭,৪০০ জন প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করার মাধ্যমে মাত্র ৩ হাজার নারী ও পুরুষকে এবছর বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল পদের জন্য চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচনা করে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়।
এবারে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় নিম্নবিত্ত পরিবারের আবেদনকারীদের বিশেষ সুযোগ–সুবিধা দেওয়া হয়েছে এবং কোন ধরনের দুর্নীতি ছাড়াই চাকরির নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশ।
নিয়োগ পরীক্ষায় নিম্নবিত্ত পরিবারের যেমন দিনমজুর কৃষক ভ্যানচালকের সন্তানরাই চাকরি পেয়েছেন। গত ২৮ শে অক্টোবর ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় যেখানে জনপ্রতি আবেদন ফি হিসেবে নেওয়া হয়েছে ১৩৩ টাকা।
দেশের ৬৪ জেলাতে আবেগঘন দৃশ্য চোখে পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এক বিজ্ঞপ্তিতে। বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মেধা ও শারীরিক যোগ্যতার ভিত্তিতে কনস্টেবল পদে সাতটি ধাপ এর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ৩০০০ যোগ্য প্রার্থীকে দেশের বিভিন্ন পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে পাঠানো হবে। ৬ মাস ব্যাপী ট্রেনিং চলমান থাকবে এবং ট্রেনিং শেষ করা মাত্রই দেশের বিভিন্ন জেলায় কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে।
কনস্টেবল নিয়োগ সম্পর্কে পুলিশ মহাপরিদর্শক ডক্টর বেনজীর আহমেদ তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন যে আমাদের পুলিশকে উন্নত দেশের উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মেধা ও শারীরিক ভাবে যোগ্য প্রার্থীদের কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রদান। এরই ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতে পুলিশের সাব–ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ও মেধা ও শারীরিক যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীদের সুযোগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক।