ঈদের নামাজ কয় তাকবীর (ক্লিক করে বিস্তারিত জানুন)
যারা ঈদের নামাজ পড়ে তারা অবশ্যই জানতে চাই ঈদের নামাজ কয় তাকবীর পড়তে হয়। এটা নিয়ে অনেকের মাঝে মতবিরোধ, মতানৈক্য রয়েছে। আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে সকল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
এক শ্রেণীর আলিম বলে থাকেন যে, “ঈদের নামাজে ছয় তাকবীর ওয়াজিব” একথাটা ভিত্তিহীন। সাথে সাথে তারা ঈদের নামাজে বার তাকবীরের পক্ষে বেশ কিছু হাদীসও ওলামায়ে কেরামের আমল পেশ করে থাকেন।
যেমন-তাদের কিছু বক্তব্য প্রশ্নের সাথে সংযোজন করা হল। এর জবাব কি? বিস্তারিত জানতে চায়। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। আর্টিকেলটি পড়ে নিন এবং দেখে নিন।
আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের জানাচ্ছি ঈদের নামাজ কয় তাকবীরে পড়তে হয়। অনেকেই এ বিষয়টি নিয়ে মতভেদ রয়েছে। আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে সহিহ হাদিসের আলোকে
ঈদের নামাযের তাকবীর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। ঈদের নামাজের গুরুত্ব এর ব্যাপারে ইসলামী চিন্তাবিদগণ বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছেন।
হানাফী মাযহাব অনুসারীদের মাঝে এ নামাজ ওয়াজিব এবং মালিকি মাযহাব অনুসারে ঈদের নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। আবার অন্যান্য ইসলামী পন্ডিত এর মত ঈদের নামাজ ফরজে আইন,
আবার অনেকের কাছেই ঈদের নামাজ দুই রাকাত নফল। ঈদের নামাজ জামাতে আদায় করতে হয় সেটা হতে পারে ঈদগা মাঠে অথবা মসজিদে। যদি এদিকে কোন ব্যবস্থা না থাকে তাহলে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে হবে।
দুই বারে তাকবীর ছয় তাকবীরের দিতে হবে। প্রথম রাকাতে শুরুতে অতিরিক্ত তিন তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাকাতে অতিরিক্ত 3 তাকবির দিতে হবে। প্রথম রাকাতে ছানা পাঠ এরপর কানের লতি পর্যন্ত হাত তুলে
পরপর তিন তাকবীর বলতে হয়। প্রথম রাকাতে এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা পাঠান্তে রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলতে হয়। অতিরিক্ত তাকবীর বলার পর কানের লতি থেকে হাত নামিয়ে আনতে হয়।
12 তাকবীরের ক্ষেত্রে প্রথম রাকাতে শুরুতে অতিরিক্ত 7 থাকবে এবং দ্বিতীয় রাকাতে শুরুতে অতিরিক্ত 5 গৃহীত হয়। প্রথম রাকাতে সানা পাঠের পর কানের লতি পর্যন্ত হাত তুলে পর পর সাতবার তাকবীর বলতে হয়।
তাহলে বন্ধুরা, এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে সকল তথ্য জানিয়ে দিতে পেরেছি। আরও কোন তথ্য পেতে চাইলে ওয়েবসাইট ভিজিট করে জেনে নিন। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে
তাঁর বিভিন্ন শাগরিদ এ কথা যেমন বর্ণনা করেছেন যে, তিনি দুই ঈদের নামাযে ৯টি করে তাকবীর দিতেন তেমনি একাধিক সূত্রে এর ব্যাখ্যাও বর্ণিত হয়েছে। আর উভয় ধরনের বর্ণনা হাদিসের কিতাব কম বেশি বিদ্যমান আছে
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি ইবনে মাসউদ রা. দুই ঈদের নামাযে ৯টি করে তাকবীর দিতেন। যে তাকবীর দ্বারা নামায শুরু করতেন সেই তাকবীর দ্বারা ৯ তাকবীরের প্রথম তাকবীর দিতেন। তারপর ৩ তাকবীর দিয়ে কুরআন পড়তেন।
৫ম তাকবীর দ্বারা রুকু করতেন। তারপর সেজদা করতেন। দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে কুরআন পড়তেন। তাহলে বন্ধুরা, এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দিলাম।