প্রতিটি নাগরিকের জন্য ভোটার আইডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।কারণ ভোটার আইডির মাধ্যমে একজন নাগরিকের নাগরিকতা প্রমাণিত হয়ে থাকে। সরকারি যেকোনো কাজে ভোটার আইডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।
যেকোনো সরকারি চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে ভোটার আইডি প্রয়োজন হয়। অনেক সময় আমরা কারণবশত ভোটার আইডি কার্ডটি হারিয়ে ফেলি অথবা অনেক সময় প্রয়োজনের সময় খুঁজে পাওয়া যায় না।
বর্তমানে আপনারা চাইলে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। অনেকে অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম জানেনা। আমাদের আজকের পোস্টে এসকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
Table of Contents
ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
সুতরাং আপনারা যদি পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তবে আশাকরি নিজেরাই ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করা যায়।
আজকের পোস্টে প্রক্রিয়াটি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রক্রিয়াটি হল- প্রথমে মোবাইল অথবা কম্পিউটারের ব্রাউজার অপশন এ গিয়ে সার্চ করতে হবে NID service অথবা Nid bd.
সার্চ করার পর প্রথম যে ইন্টারফেস আসবে সেখানে ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘অন্যান্য তথ্য’ অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘ভোটার তথ্য’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করা
অতঃপর যে অপশন গুলো আসবে তার মধ্যে ‘ফরম নম্বর’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। প্রথমে স্লিপ নম্বর দিতে হবে।এরপর জন্ম তারিখ সঠিকভাবে দিতে হবে। অতঃপর ক্যাপচা কোড সঠিক ভাবে লিখতে হবে।
এরপর ‘ভোটার তথ্য দেখুন’ অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।সেখানে আপনি আপনার ভোটার তথ্যগুলো দেখতে পারবেন। সবশেষে ‘রেজিস্ট্রার’ অপশন এ ক্লিক করে ফরম পূরণ করতে হবে।
‘ডাউনলোড’ অপশনে ক্লিক করলেই ভোটার আইডি ডাউনলোড হয়ে যাবে। এই প্রক্রিয়ায় আপনারা ভোটার নাম্বার দিয়ে নিজেদের এনআইডি কার্ড এর কপি অল্প সময়ের মধ্যে ডাউনলোড করে মোবাইল অথবা কম্পিউটার রাখতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করা
ভোটার নাম্বার দিয়ে আপনারা অনেকেই আইডি কার্ড বের করার নিয়মটি জানেন না। আমরা আজকের পোস্টে এই প্রক্রিয়াটি নিয়ে স্পষ্ট ভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।
প্রথমে নির্বাচন কমিশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর ‘রেজিস্টার’ অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করতে চাই’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
অতঃপর ফরমটি পূরণ করে ক্যাপচা কোড সঠিক ভাবে লিখতে হবে। এরপর ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। পরবর্তীতে বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা অপশনে নিজের ঠিকানা সঠিকভাবে বসাতে হবে।
সিম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করা
অর্থাৎ ভোটার আইডি রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনি যে ঠিকানা দিয়েছিলেন ঠিক সেই ঠিকানাই দিতে হবে। ‘পরবর্তী ধাপ’ অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘মোবাইল নাম্বার’ অপশনে ব্যবহার করা মোবাইল নম্বরটি দিতে হবে।
অতঃপর ‘ভেরিফিকেশন কোড’ অপশনে মেসেজ এ পাঠানো কোড বসাতে হবে। এরপর ‘বহাল’ অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। অতঃপর নিজের ফেস স্ক্যান করতে হবে। এরপর ‘ঠিক আছে’ অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
সবশেষে ‘ডাউনলোড’ অপশন এ ক্লিক করে আপনি আপনার এনআইডি কার্ড এর কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। সুতরাং আমি বলতে পারি আজকের পোস্ট এর মাধ্যমে আপনারা সকলেই উপকৃত হয়েছেন।
