১০ হাজার শিক্ষার্থী স্কুলে ফেরেনি

করণা ভাইরাসের কারণে প্রায় দুই বছর যাবত সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। গত অক্টোবর মাসে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হলেও দেশের অনেক ছাত্র–ছাত্রী অকালে ঝরে পড়েছে।
জানা গেছে যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগ্রা ইউনিয়নের হাবিব কাদের উচ্চ বিদ্যালয় দেড় হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করত। কিন্তু করোনাকালে দেড় বছরের বেশি সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে ৬৯০ জন ছাত্র–ছাত্রী শুধুমাত্র স্কুলে ফিরেছে বাকি ছাত্র–ছাত্রী বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত।
পরে শিক্ষকরা তথ্যটি যাচাই করতে পেরেছেন এবং অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬০ জন শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়ে গেছে এবং ৩০ জন ছাত্র দরিদ্রের কারণে বিভিন্ন বিভিন্ন জায়গায় কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। আর বাকিদের বিষয়টি তারা এখনো জানতে পারিনি।
এরপর একাধিক উচ্চ বিদ্যালয় খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে কোন সময় অনেক পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল হয়ে পড়ে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছেন। যার কারণে অনেক ছাত্র–ছাত্রীদের বিভিন্ন কাজে যেতে হয়েছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে অনেক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়ে গেছে।
ঘাটাইলের পাকুটিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিল প্রকাশ চক্রবর্তী তাঁর বাবা প্রভাত চক্রবর্তী বাবুর্চির কাজ করতেন। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি তার বাবার কাজ বন্ধ ছিল। অসচ্ছল সংসারের খরচ যোগাতে প্রকাশ দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ শুরু করেন ফলে দীর্ঘদিন পর স্কুল খুললে তারা স্কুলে ফেরা হয়নি।
বাসাইল উপজেলার বাথুলী সাদী লাইলী বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম খান জানান শুধু আমাদের স্কুলে অনুপস্থিত তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে পারে যোগাযোগ করা হচ্ছে কিন্তু তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রী অকালে ঝরে পড়েছে।
শিক্ষা সংক্রান্ত সকল তথ্যের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত ভিজিট করুন কেননা আমরা শিক্ষার সকল খবরাখবর এখানে প্রকাশ করে।